উপজেলার নামকরণ |
রাঙ্গামাটি জেলার দশটি থানার মধ্যে প্রাচীনতম থানা/উপজেলা বরকল। বৃটিশ শাসনামলে ১৯২৩ সালে এটি কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী কর্ণফুলীর পাড়ে বিস্তৃত ছোট বড় পাহাড়, ঝর্ণা ও ছোট নদী নালায় ঘেরা এই বরকল থানা/ উপজেলা। বরকল নামকরণের পেছনে জনশ্রুতি আছে যে, কর্ণফুলী নদীর এই স্থানে একটি খুবই বড় প্রবাহমান ঝর্ণা ছিল। পানি পড়ার শব্দ অনেক দূর হতে শোনা যেত। আর এই পানি পড়ার শব্দ শুনে মনে হত কোন বড় যন্ত্র বা কলের শব্দ হচ্ছে। যার ফলে এই স্থানে বসবাসকারী পাহাড়ী লোকেরা এই স্থানের নাম দেয় বরকল।
|
ভৌগলিক অবস্থান |
বরকল উপজেলা ২২০৩৯© থেকে ২৩০১৪©উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২০১১© থেকে ৯২০২৯©পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তরে বাঘাইছড়ি, দক্ষিণে জুরাছড়ি, পশ্চিমে লংগদু ও রাঙ্গামাটি সদর এবং পূর্বে ভারত। এখানকার ভূমি উচ্চভূমি, তথা পাহাড়ী ভূমি এবং নিম্নভূমি তথা জলাভূমি। নিম্নভূমি কাপ্তাইয়ের জলরাশি দ্বারা নিমজ্জিত। এখানে রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট ছড়া। ছড়ার নামানুসারে বিভিন্ন স্থানের নামকরণ করেছে স্থানীয় লোকজন। উদাহারণ স্বরুপ- বরকলের বান্দরছড়ি, তুনদুরুং ছড়া, পুরিহাট ছড়া, আগারছড়া, জী্বনছড়া, উজ্জাংছড়ি, মরাউজ্জাংছড়ি ডাইনের উজ্জাংছড়ি, গরগরিছড়ি ইত্যাদি। তদ্রুত সুবলংয়ের মিতিংগাছড়ি, মাইচছড়ি, হাজাছড়া, বরুনাছড়ি, দীঘলছড়ি ইত্যাদি। বরকলের পাহাড়গুলি বেশীরভাগ বেলে পাথর দিয়ে গঠিত। উপরে মাটির স্তর থাকলেও ভিতরে পাথরে স্তর সারি সারি সাজানো। রাঙ্গামাটি জেলার বড় বড় পাহাড়গুলো এ অঞ্চলে অবস্থিত।
|
পটভূমি মোট পনেরোটি কৃষি ব্লক নিয়ে গঠিত বরকলের কৃষি। এগুলো হল- মিতিংগাছড়ি, বাঘাছোলা, বরুণাছড়ি, নলবুনিয়া, বেগেনাছড়ি, কুরকুটিছড়ি, কলাবুনিয়া, হেডভরিয়া, আন্দারমানিক, খুব্বাং, এরাবুনিয়া, ভূষ্ণছড়া, শুকনাছড়ি, বামের মহালছড়ি, ধুম্বাতালাং। শ্যামল বৃক্ষরাজি ও অসংখ্য ছোটবড় পাহাড় সমৃদ্ধ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বরকলের উপর দিয়ে বয়ে গেছে কর্ণফুলি হ্রদ। এ হ্রদের কারণে সৃষ্টি হয়েছে ১৮৯১ হেঃ আয়তনের জলেভাসা জমি। যার ফলে চলমান কৃষি কার্যক্রমে অন্য উপজেলার সাথেও রয়েছে ভিন্নতা। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস